করোনার থাবা কেকের বাজারেও : প্রভু যীশুর জন্মদিনের প্রাক্কালে কেক বাজারে মন্দা

23rd December 2020 12:22 pm হুগলী
করোনার থাবা কেকের বাজারেও : প্রভু যীশুর জন্মদিনের প্রাক্কালে কেক বাজারে মন্দা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  আসছে বড়দিন। বড়দিনের কথা ভেবে প্রত্যেকবছরই বাজারে আসে নতুন-নতুন কেক। বড়দিনের আগে প্রায় মাস দেড়েক ধরে সেইসমস্ত কেক তৈরীতে কারিগরদের সংখ্যাও বাড়ে বেকারী গুলিতে। সদর শহরের পাশাপাশি হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ প্রান্ত জুড়ে রয়েছে বেকারি কারখানা। সেইসমস্ত কারখানায় সারাবছর বিস্কুট, পাউরুটি, কেক তৈরী হলেও বড়দিনের আগে মূলতঃ কেক তৈরীতেই ব্যাস্ত থাকেন কর্মীরা। হুগলির রাজহাটে সেরকমই একটি হাইজেনিক বেকারি কারখানায় জোরকদমে চলছে কেক তৈরীর কাজ। যদিও বড়দিনের আগে কমবেশী ৩০দিন এখানে অতিরিক্ত কর্মী নেওয়া হলেও এবারে কাজের চাপ কম থাকায় কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে মাত্র দিন দশেকের জন্য। হাওড়া-বর্ধমান-পুরুলিয়া প্রভৃতি এলাকা থেকে এখানে ডিসেম্বর মাসে একটু বেশী রোজগারের আশায় কাজ করতে আসেন কর্মচারীরা। কিন্তু এবছর করোনার জেরে বাজারের অবস্থা খারাপ। তাই কেকের চাহিদাও কম। ফলে দিন দশেকের বেশী কাজ মেলেনি অতিরিক্ত কর্মীদের। কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য করোনার জেরে এবছরটা লকডাউনের মধ্য দিয়েই গেলো। তাই সাধারন মানুষের হাতে টাকা নেই। ফলে এবছর কেকের চাহিদা কম। তবে শুধু এবছরই নয় সেই চার বছর আগে থেকে বড়দিনে কেক শিল্প মার খাচ্ছে। কারন হিসাবে তিনি বলেন, প্রথমে নোট বাতিল, তারপর খুচরো পয়সা, গতবছর এনআরসি আর এবার করোনার কারনে চার বছর ধরে বড়দিনের কেক শিল্প ধুঁকতে শুরু করেছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।